বুড়িগঙ্গায় বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে গেছে ওয়াটারবাস। উদ্ধার করা হয়েছে ৩ জনের মরদেহ। এখনও নিখোঁজ অন্তত ৪০। উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ড। উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ফের উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে আনা বিআইডব্লিউটিএ’র জাহাজ রুস্তম দিয়ে উদ্ধারকাজ চলছে।

এর আগে রোববার রাতে ওয়াটার বাসডুবির পর প্রায় ছয় ঘণ্টা উদ্ধার কার্যক্রম চলে। পরে রাত ২টা ৪০ মিনিটে উদ্ধার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়। প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী চলা উদ্ধার কার্যক্রমে জীবিত ৫ জন ও মৃত ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, ওয়াটার বাসটি রাজধানীর লালকুঠি ঘাট থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেলঘাটে যাচ্ছিল। মাঝনদীতে এলে এটি বালুবোঝাই এমভি আরাবি নামের একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায়। খবর পেয়ে রাত নয়টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালক দিনমনি শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, রাত ১১টা পর্যন্ত আটজনকে উদ্ধার করেছেন তাঁরা। এর মধ্যে পাঁচজন ছিলেন জীবিত, তিনজন অচেতন। উদ্ধার করা ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, তিনজন নারী। সবাইকে মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওয়াটার বাসটি শনাক্ত করা গেছে। এটি উত্তোলনের চেষ্টা চলছে। সেখানে ডুবে যাওয়া আরও কেউ আছেন কি না, খুঁজে দেখা হচ্ছে।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিডফোর্ড হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় হাসপাতালে তিনজনের মরদেহ আনা হয়েছে। নিহত তিনজনই পুরুষ। এর মধ্যে একজনের নাম আলিফ (১৪)। তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। অপর দুজনের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান।